যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন সামরিক হেলিকপ্টার ও যাত্রীবাহী উড়োজাহাজের সংঘর্ষের ঘটনায় কেউ বেঁচে নেই বলে ধারণা করছেন উদ্ধারকারীরা। তবে এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনাস্থল থেকে ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসির ফায়ার সার্ভিসের প্রধান জন ডনেলি এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।
স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে রিগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের রানওয়ে ৩৩-এর কাছাকাছি ঘটনাটি ঘটে। যাত্রীবাহী বিমানটিতে মোট ৬০ জন যাত্রী এবং ৪ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। আর হেলিকপ্টারে ৩ জন মার্কিন সৈন্য ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার (ডিসি) ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টের প্রধান জন ডনেলি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমার কাছে মনে হচ্ছে না যে আমরা কোনো জীবিত ব্যক্তিকে খুঁজে পাব। আমরা সমস্ত মরদেহ উদ্ধার করে তাদের প্রিয়জনদের কাছে হস্তান্তরের জন্য কাজ চালিয়ে যাব।’
বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার হেলিকপ্টার এবং উদ্ধারকারী নৌকা পটোম্যাক নদীতে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। ওয়াশিংটন ডিসির জরুরি সেবা দল রিগ্যান ন্যাশনাল এয়ারপোর্টে উপস্থিত হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। পটোম্যাক নদীর তীরে হেলিকপ্টারটির কিছু ধ্বংসাবশেষ মিলেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দুর্ঘটনার শিকার সামরিক হেলিকপ্টারটি ছিল একটি ইউএস আর্মির ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার, যেটি মূলত প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল। হেলিকপ্টারটিতে কোনো উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন না জানিয়েছেন একজন কর্মকর্তা।
এর আগে সিবিএস নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, জরুরি উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থল থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে।