চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা সীমান্তের শূন্যরেখায় ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে জমির কাঁচা গম কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পর বিজিবি–বিএসএফের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে উভয় দেশ সীমান্তে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে।
এ বিষয়ে বিজিবির রহনপুর ব্যাটালিয়নের (৫৯) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, সীমান্তে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখতে উভয় দেশ সম্মত হয়েছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের চৌকা ও কিরণগঞ্জ বিজিবি সীমান্ত ফাঁড়ির মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শিবগঞ্জ থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় চারজন আহত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। বাকিদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।
আহতরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর গ্রামের ঝুটনের ছেলে ফারুক, কালিগঞ্জ নামটলার সাদিকুল ইসলামের ছেলে মেসবাউল হক মেসবা, বিশ্বনাথপুরপুর গ্রামের জিয়াউর রহমানের ছেলে রনি এবং কালিগঞ্জ সরদার টোলার নাজিরের ছেলে সুজন।
বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বাদশা বলেন, এ ঘটনার পর দুই দেশের সীমান্তে শত শত মানুষ জড়ো হয়েছেন। তারা বিক্ষোভ করছেন। এ সময় ভারতীয়দের ছোড়া পাথর ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এর আগে শনিবার সীমান্তের শূন্যরেখার পাশে বাংলাদেশের ভেতরের জমিতে গম তুলতে যায় স্থানীয়রা। তখন কিছু ভারতীয় নাগরিকেরা এসে বাধা দেয় এবং কয়েকটি আমগাছ কেটে ফেলে। এ নিয়ে দুই দেশের অধিবাসীদের মধ্যে শুরু হয় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া।
খবর পেয়ে সীমান্ত এলাকায় ছুটে যায় স্থানীয় বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক। এর মধ্যেই ভারতের নাগরিকেরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বেশ কিছু আমগাছ কেটে ফেলে। এরপর বাংলাদেশিরা একত্রিত হয়ে তাদের ধাওয়া করলে ভারতীয় নাগরিকেরা তীর–ধনুক–হাঁসুয়া কাতা নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা ককটেল, সাউন্ড গ্রেনেডভর্তি টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। পরে বিজিবি গিয়ে পরিবেশ স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালায়। সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষজনের মধ্যে এখনও আতঙ্ক কাটেনি।