ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার (ডিআইটিএফ) শেষ দিনে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। প্রতিটি স্টলে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের পদচারণায় কানায় কানায় পূর্ণ রয়েছে। মেলায় বিভিন্ন স্টলের মূল্য ছাড়ের সুযোগ রয়েছে।
রাজধানীর অদূরে পূর্বাচলে চলছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৯তম আসর। ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া মাসব্যাপী এই মেলার পর্দা নামছে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি)।
ভিশন প্যাভিলিয়নের হেড রাসেল মাহমুদ বলেন, ‘আজ শেষ দিন হওয়ায় আমরা ক্রেতা-দর্শনার্থীদের থেকে ভালো সাড়া পাচ্ছি। আমাদের সব পণ্যে ২০ শতাংশ ডিসকাউন্ট চলছে। বেচা-কেনা ভালো, তবে আরও ভালো হতে পারত।’
ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানিয়েছেন, শেষ দিন হওয়ায় মেলায় সকাল থেকেই ভিড় রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে। বিশেষ করে গৃহস্থালির নানা পণ্য, খাবার, ইলেকট্রনিকস, ক্রোকারিজসহ সব পণ্যে নানা অফার থাকায় সবাই কিছু না কিছু কিনে বাড়ি ফিরছেন।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, বাণিজ্যমেলার এবারের আসরে ৩৪৩টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। যার মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও হংকংয়ের ১১টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
স্টল মালিকরা জানান, মেলার শেষ দিকে বেচাকেনা বাড়লেও খুব একটা লাভের মুখ দেখছেন না তারা। এদিকে সময় বাড়ানোর দাবি জানালেও কর্তৃপক্ষ তাতে সায় দেয়নি।
বিক্রয়কর্মীরা জানান, শৈত্যপ্রবাহের কারণে মেলার শুরুতে তেমন দর্শনার্থী আসেনি। শুক্র ও শনিবার ছাড়া সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতেও তেমন সাড়া মেলেনি। তবে দিন যত গড়াতে থাকে তত মানুষের আগমন বাড়তে থাকে।
মেলার মূল ভবনে দেখা যায় তিল ধারনের ঠাঁই নেই। হল ‘এ’ এবং ‘বি’ ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে মুখরিত হয়ে আছে। ক্রেতা আকর্ষণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে ব্যবসায়ীদের।
মেলায় অংশ নেওয়া সাতটি দেশ হল- ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও মালয়েশিয়া।
মেলায় দেশীয় বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিক্স অ্যান্ড বিউটি এইড, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্সস, ফার্নিচার, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহ সামগ্রী, চামড়া ও আর্টিফিসিয়াল চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, স্যানিটারিওয়্যার, খেলনা, স্টেশনারি, ক্রোকারিজ, প্লাস্টিক, মেলামাইন পলিমার, হারবাল, টয়লেট্রিজ, ইমিটেশন জুয়েলারি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে।
গেলবারের ধারাবাহিকতায় মেলায় আসা-যাওয়ার জন্য বিআরটিসির ডেডিকেটেড বাস সার্ভিসের পাশাপাশি বিশেষ ছাড়ে উবার সার্ভিসও চালু রয়েছে। মেলায় করা হয়েছে উবারের পিক আপ জোন।