বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ছয় মাস পুরো হলো বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি)। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনার টানা সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের পতনের পর আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে রিকশাচালক, দিনমজুর, শ্রমিক, শিক্ষক, আইনজীবী, প্রবাসী, ব্যবসায়ী এমনকি বেকার- সবাই নেমেছিলেন রাস্তায়। সোচ্চার হয়েছিলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ছাত্র-জনতার পক্ষে দাঁড়ান সেনা সদস্যরা; মাঠে নামেন সাবেক সেনা কর্মকর্তারা। আর আওয়ামী লীগের শাসনামল জুড়ে নির্যাতনের শিকার হওয়া রাজনৈতিক দলগুলো হয়ে উঠেছিলো আন্দোলনের অভিজ্ঞ ঢাল।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পরিবেশ সমাল দিতে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রাণভয়ে ভারতে পালিয়ে যায় শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমেই পতন হয়েছিল স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনের।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড পেজে বলা হয়, বাংলাদেশের ছাত্রদের উপর নৃশংসতম গণহত্যা চালানোর পরে ছাত্রসমাজের উদ্দেশ্যেই দিল্লীতে বসে ভাষণ দেয়ার মত ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে হা-সি-না। এমন নির্লজ্জতার প্রতিবাদে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯ টায় (যখন হাসিনার ভাষণ দেয়ার কথা) ঢাকা শহরের প্রত্যেক মোড়ে মোড়ে জুলাই গণহত্যার ভিডিও, ডকুমেন্টারি, ছবি প্রদর্শন করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আপনারা সারা দেশের প্রত্যেকটি মোড়ে মোড়ে, বাজার-হাটে জুলাই গণহত্যার ভিডিও প্রচার করুন।
এতে আরও বলা হয়, বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় বাংলাদেশের সকল সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেলে “জুলাই গণঅভ্যুত্থান”-এর উপরে বিশেষ বুলেটিন প্রচার করার আহ্বান জানানো হচ্ছে। আশারাখি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানপন্থী ছাত্র-জনতার পাশে মিডিয়ার সরব উপস্থিতি দেখা যাবে।