কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তানি ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে সেখানে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
অবশ্য ভারতীয় গণমাধ্যমে গোলাগুলির এই খবর এলেও পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বা দেশটির সংবাদমাধ্যমে এখনও এ বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মিরে নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর বৃহস্পতিবার রাতের দিকে ভারতীয় সেনা চৌকির দিকে গুলি চালায় পাকিস্তানি সেনারা। জবাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। সেনা সূত্রে জানা গেছে, এই গোলাগুলিতে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে, গত মঙ্গলবার বিকেলে পেহেলগামের বৈসারণ উপত্যকায় সশস্ত্র হামলায় ২৬ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ২৫ জন ভারতীয় এবং একজন নেপালের নাগরিক। ওই হামলার পর ভারত দাবি করে-এটি পাকিস্তান থেকে পরিচালিত একটি জঙ্গিগোষ্ঠীর কাজ। তবে পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং হামলার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছে।
হামলার পরে প্রথমে ভারত, আর তারপরে পাকিস্তান, একে অপরের বিরুদ্ধে এক গুচ্ছ কড়া ব্যবস্থার ঘোষণা দিয়েছে। এ সব পদক্ষেপগুলোর মধ্যে দুই দেশেরই ওয়াঘা-আটারি সমন্বিত সীমান্ত চৌকি বন্ধের ঘোষণার পাশাপাশি দুটি দেশই অপর দেশের সামরিক কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের ঘোষণাও দিয়েছে।
ভারত বুধবার ঘোষণা করেছিল, ‘সার্ক দেশগুলোর জন্য ভিসা ছাড়’ প্রকল্পের আওতায় যেসব পাকিস্তানি নাগরিক বিশেষ ভিসা পেয়েছেন, তা বাতিল করা হলো। জবাবে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানও ঠিক ওই একই ঘোষণা করেছে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য।
এ ছাড়া ভারত সিন্ধু নদের পানি চুক্তি স্থগিত করেছে। জবাবে পাকিস্তান আবার ভারতের সঙ্গে সব দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্থগিত করেছে। পাকিস্তানের আকাশ সীমাও ভারতীয় বিমান চলাচলের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে ইসলামাবাদ।