খুলনায় ৬ দফা দাবিতে ট্রেন আটকে দিয়েছেন চারটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার পর খুলনা রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে আসা রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটি নগরীর বয়রা জংশন এলাকায় আটকে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এতে প্রায় ৩ ঘণ্টা সারাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বিপাকে পড়ে যাত্রীরা।
তাদের দাবিগুলো হলো- বেসরকারি পলিটেকনিকসমূহের ল্যাব সুবিধা ও অতিরিক্ত অর্থ আদায় নিয়ন্ত্রণ এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্টের অর্থ প্রদান।
সম্প্রতি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে দেওয়া দাবি পূরণের স্মারকলিপিতে বলা হয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি পলিটেকনিকে যথেষ্ট ল্যাব সুবিধা নেই, যার ফলে বেসরকারি পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা দক্ষতা অর্জনে ব্যর্থ হন। এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বেসরকারি পলিটেকনিকসমূহের ল্যাব সুবিধা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করতে হবে এবং যেসব বেসরকারি পলিটেকনিক ল্যাব সুবিধা প্রদানে ব্যর্থ হবে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা করতে হবে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি পলিটেকনিক মাত্রাতিরিক্ত অর্থ আদায় করে এবং কোনো শিক্ষার্থী অর্থ প্রদানে ব্যর্থ হলে নানা রকম হয়রানির শিকার হন। তাই এসব অতিরিক্ত অর্থ আদায় নিয়ন্ত্রণসহ বেসরকারি পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের নানা হয়রানির বিষয়ে বোর্ড কর্তৃক যৌক্তিক পদক্ষেপ নিতে হবে।
বাংলাদেশের সরকারি পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট বাবদ যেসব অর্থ পেয়ে থাকেন তা বেসরকারি পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন না। বেসরকারি পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই বৈষম্য দূর করতে হবে।