আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে গত শুক্রবার থেকে। আজ ভ্রমণকারী যাত্রীদের জন্য আগামী ২৭ মার্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে। সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট এবং দুপুর ২টায় পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট ইস্যু হবে।
এবারের ঈদযাত্রায় টিকিটের ১০০ শতাংশ বিক্রি অনলাইনে হবে। পূর্ব এবং পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীদের সুবিধার্থে আলাদা সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত ৯ মার্চ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকী সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, ২৭ মার্চের টিকিট ১৭ মার্চ, ২৮ মার্চের টিকিট ১৮ মার্চ, ২৯ মার্চের টিকিট ১৯ মার্চ এবং ৩০ মার্চের টিকিট ২০ মার্চ পাওয়া যাবে।
এছাড়া, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৩১ মার্চ, ১ ও ২ এপ্রিলের টিকিটও বিক্রি করা হবে। ঈদযাত্রার সকল টিকিট শুধুমাত্র অনলাইনে কেনা যাবে। এবারের ঈদে ঢাকা থেকে প্রতিদিন ৩৫ হাজার ৩১৫টি অগ্রিম টিকিট বিক্রি হবে।
বিগত বছরগুলোতে ঈদযাত্রায় ৮ থেকে ১০ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলত, তবে এবার তা কমিয়ে ৫ জোড়া করা হয়েছে।
বিশেষ ট্রেনগুলোর মধ্যে রয়েছে:
চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল ১ ও ২।
ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ৩ ও ৪।
ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ৫ ও ৬।
ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ৭ ও ৮।
জয়দেবপুর-পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে পাবর্তীপুর ঈদ স্পেশাল ৯ ও ১০।
ঈদযাত্রার জন্য অতিরিক্ত যাত্রীবাহী কোচও চালানো হবে। মোট ৪৪টি যাত্রীবাহী কোচ (২৮টি মিটারগেজ এবং ৩৬টি ব্রডগেজ) সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এছাড়া অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে ১৯টি লোকোমোটিভ (১৪টি মিটারগেজ ও ৫টি ব্রডগেজ) ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে।
এবার ঈদযাত্রায় আন্তঃনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটিও বাতিল করা হয়েছে। ২৭ মার্চ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত কোনো আন্তঃনগর ট্রেনের সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে না, তবে ঈদের পর সাপ্তাহিক ছুটি আবার কার্যকর হবে। ঈদের দিন কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না।