জনগণের একটি বিশাল অংশ বিশ্বাস করে, আগামীতে দেশের যদি ভাল কিছু হয়, সেটা বিএনপির দ্বারাই হবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সিন্ডিকেট প্রথা ছিল। বিএনপি এই সিন্ডিকেট প্রথা ভেঙে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে দেশের মানুষের জন্য দেশিয় পণ্য প্রদান করা হবে।’
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির উদ্যোগে ঝিনাইদহ ড্রিমভ্যালি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি যোগ দিয়ে নেতাকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশে দীর্ঘদিন স্বৈরাচার হাসিনা সরকার ক্ষমতায় ছিল। যে কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি দেশের মানুষের আস্থাহীনতা সৃষ্টি হতে পারে। দেশের সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গা ফিরিয়ে আনতে আমাদের নেতাকর্মীদের কাজ হবে।’
তিনি নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহল প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। দেশের ভিতরে ও বাইরে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। কারণ, বিএনপি জনগণের দল। নিজেদের জনগণের আস্থায় নিয়ে যেতে হবে। নিজেদের শুধরাতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশের প্রতিটি খাত ধ্বংস করে দিয়ে গেছে স্বৈরাচার হাসিনা সরকার। আগামীর সরকারের জন্য দেশ চালানো হবে এক চ্যালেঞ্জ। কাজেই, আগামীতে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সকল দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ ফিরতে পারবে না।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিএনপি সরকার গঠনে সক্ষম হলে যোগ্যতার ভিত্তিতে রাষ্ট্রকাঠামোর বিভিন্ন স্তরে জনবল নিয়োগ করা হবে। স্বৈরাচার হাসিনার কিছু দোসর দেশের ব্যাংক খাত লুটতরাজ করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। আমরা ক্ষমতায় গেলে ব্যাংকিং খাতে অর্থনীতির নিয়মে সংস্কার করা হবে। যাতে দেশের অর্থনীতি মজবুত ও সুদৃঢ় হয়।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধ গ্রহণ করা যাবে না। আমরা বাংলাদেশের মানুষের জন্য ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই সকল প্রতিশোধ নেব। আমি মনে করি, ৩১ দফার বাস্তবায়নই বড় প্রতিশোধ। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সবচেয়ে বড় দল বিএনপি। এজন্য আমাদের দায়িত্ব অন্য দলগুলোর চেয়েও বেশি।’