আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থাকবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত দলটিকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা নির্বাচন করতে চায় কি না, আমি তাদের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। নির্বাচনে কারা অংশগ্রহণ করবে তা নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেয়।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি প্রধান উপদেষ্টার একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে, যেখানে এসব কথা বলেছেন তিনি
বিবিসির সাংবাদিক সামিরা হুসেইনের নেয়া সাক্ষাতকারে আওয়ামী লীগের আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তারাই (আওয়ামী লীগ) সিদ্ধান্ত নেবে, তারা নির্বাচনে অংশ নেবে কি না। আমি তো তাদের হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। নির্বাচনে কে অংশ নেবে, তা নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে।
তিনি জানান, প্রত্যাশা অনুযায়ি সংস্কার দ্রুত হলে নির্বাচন হবে ডিসেম্বরে, আর সংস্কারের বেশি দরকার হলে নির্বাচন হতে আরও কয়েকমাস লাগতে পারে।
বর্তমানে অর্থনীতি, শান্তি এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখা সরকারের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সম্পূর্ণ একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে তাদের দায়িত্ব নিতে হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি গেলো বছরের একই সময়ের সঙ্গে তুলনা করলে পরিস্তিতি ঠিক আছে বলে মত দেন প্রধান উপদেষ্টা।
এদিকে, ড. ইউনূসের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ফেব্রুয়ারিতে শেখ হাসিনার এক ইউটিউব ভাষণের ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার বাড়িতে হামলা হয়। এমনকি শেখ হাসিনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িও ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা এক পোস্টে আওয়ামী লীগ অভিযোগ করেছে, অন্তর্বর্তী সরকার এই সহিংসতাকে ন্যায়সংগত বলে উপস্থাপন করছে। এ বিষয়ে বিবিসি ড. ইউনূসের কাছে জানতে চাইলে, তিনি তাঁর সরকারের অবস্থানকেই সমর্থন করেন।
আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সম্পত্তি নষ্ট করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘আদালত আছে, আইন আছে, থানায় অভিযোগ করা যায়। আপনি কেবল বিবিসির প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বসে থাকবেন না, থানায় গিয়ে অভিযোগ করুন এবং দেখুন আইন কীভাবে কাজ করে।’