নির্বাচন যত দেরি হবে ততই ষড়যন্ত্রের ডালপালা বাড়তে থাকবে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, যারা দেশের সম্পদ লুট করে পালিয়েছে তারা এই ষড়যন্ত্রের পেছনে খরচ করবে। সংস্কার সফল করার জন্য যারা মানুষের সাথে জড়িত এমন মানুষ প্রয়োজন, তা না হলে সংস্কার সফল হবে না।
তারেক রহমান বলেন, সফল সংস্কার অবশ্যই দেশের রাজনীতিবিদদের হাত ধরেই সম্ভব হবে। তাই দ্রুত নির্বাচন দয়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে। না হলে ষড়যন্ত্রের ডালপালা বাড়তেই থাকবে। কারণ লুট করা পলাতকরা সেই টাকা ষড়যন্ত্রের পেছনে খরচ করবে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চব্বিশের ছাত্রজনতার গণআন্দোলন চলাকালে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের আহত ফটো-সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে হলে রাজনৈতিক অধিকার ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যে দেশের মধ্যে মানুষের মৌলিক অধিকার থাকবে এমন একটি দেশ মানুষের প্রত্যাশা। ১৫ বছর ক্ষমতা কুক্ষিগত করে, দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত না করে অন্য দেশের নাগরিকদের স্বার্থ হাসিলে কাজ করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, দেশটা সবার, দেশ একক কারো নয়, যা প্রমাণ করেছে জুলাই বিল্পবের মানুষের ঢল। জুলাই-আগস্টের কয়েক সপ্তাহের হত্যাকাণ্ডই প্রমাণ করে গেল ১৫ বছর কী পরিমাণ গুম খুন চালিয়েছে আওয়ামী লীগ, বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা সবাই অনুসূচনাহীন। আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসলে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের কোনো চিহ্নই রাখবে না।
বাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তিনি বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রথম কাজ হচ্ছে সিন্ডিকেট ভাঙা। দেখা যাচ্ছে সিন্ডিকেট মাফিয়া মাত্র কয়েকটি, এদের কেন সরকার ধরতে পারছে না।