বাংলাদেশের পুঁজিবাজার চরম সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে ২০২৪ সাল পার করেছে। নতুন বছর ২০২৫ সালের শুরুতে ব্যাংকিং শেয়ারগুলোর স্থিতিশীলতা দেখা গেছে গত সপ্তাহে। চার বছর পরে বাজারের চ্যালেঞ্জিং সুযোগগুলো বিনিয়োগকারীদের মাঝে নতুন করে আশা জাগিয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, বাজারের পুনরুদ্ধার মূলত হাতেগোনা শীর্ষ ব্যাংকিং শেয়ারগুলোর মাধ্যমে উৎসাহিত হয়েছিল। বিশেষত প্রধান ব্যাংকগুলো ২০২৪ সালের জন্য পরিচালন মুনাফার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে। কিন্তু বৃহত্তর বাজার মনোভাব অব্যাহত রয়েছে।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বেঞ্চমার্ক সূচক, ডিএসইএক্স, বছরের প্রথম ব্যবসায়িক সপ্তাহ একটি ইতিবাচক নোটে শেষ করেছে। ১৫ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ২৯ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ২০০ পয়েন্টে বন্ধ হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের ৩৭ পয়েন্টের পতন থেকে পুনরুদ্ধার করেছে।
একইভাবে, ৩০টি বিশিষ্ট কোম্পানির প্রতিনিধিত্বকারী ব্লু-চিপ ডিএস৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯৩১-এ পৌঁছেছে। তবে শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলোর ওপর নজর রাখা ডিএসইএস সূচক ১২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৫৫টিতে দাঁড়িয়েছে।
ব্যাংকিং খাত লেনদেনে নেতৃত্ব দিয়েছে, ব্যবসার ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ, ফার্মাসিউটিক্যালস (১৬ দশমিক ৯ শতাংশ) এবং প্রকৌশল (৮ দশমিক৮ শতাংশ)।
খাতগুলোর মিশ্র ফলাফলের মধ্য দিয়ে সপ্তাহটি শেষ হয়েছে। ব্যাংকিং শেয়ারগুলো সর্বাধিক মুনাফা অর্জনকারী হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে, যা বেড়েছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। অন্যদিকে পাট খাত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, যা ৪ দশমিক শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বাজারের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকগুলো ২০২৪ সালে পরিচালন মুনাফায় দ্বিগুণ অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। প্রাথমিকভাবে সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ থেকে যথেষ্ট আয় করেছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের উত্থান হয়েছে। সিএসই অল শেয়ারের মূল্য সূচক (সিএএসপিআই) ১১৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৫৫২ পয়েন্টে এবং সিলেক্টিভ ক্যাটাগরির সূচক (সিএসসিএক্স) ৬৬ পয়েন্ট বেড়ে ৮ হাজার ৮৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
বন্দর সিটি এক্সচেঞ্জে ১৬৭ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। ফার্মাসিউটিক্যালস এবং পেট্রোলিয়াম খাতে শক্তিশালী পারফরম্যান্স মূলত বাণিজ্য কার্যক্রমকে চালিত করেছিল।