জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে নতুন একটি ছাত্রসংগঠন আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আত্মপ্রকাশ করবে নতুন এই ছাত্রসংগঠনটি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতাদের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে নতুন এই ছাত্রসংগঠন। এটি ‘স্টুডেন্ট ফার্স্ট, বাংলাদেশ ফার্স্ট’ স্লোগানকে ধারণ করে গঠিত হবে। জুলাই আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ যারা একটি নির্দিষ্ট মতাদর্শ অনুসরণ করেন, বিশেষত জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃস্থানীয় ও দূরদর্শী রাজনীতি গড়ে তুলতে আগ্রহী, তারাই মূলত এই ছাত্রসংগঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
এছাড়াও এটি লেজুড়বৃত্তিক ছাত্রসংগঠন হবে না। নতুন যে রাজনৈতিক দল গঠনের কথা হচ্ছে তার সঙ্গে এই ছাত্রসংগঠনের কোনো সম্পর্ক থাকবে না।
আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া নতুন ছাত্রসংগঠনের সাংগঠনিক কাঠামো কেমন হবে তা জানতে চাইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘আমরা যে নতুন ছাত্রসংগঠন নিয়ে আসছি তাতে প্রাথমিকভাবে আমরা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করতে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পদের ক্রম হবে আহ্বায়ক, সদস্যসচিব, মুখপাত্র এবং সংগঠক। এক্ষেত্রে আহ্বায়কের সঙ্গে যুগ্ম আহ্বায়ক প্যানেল এবং সদস্যসচিবের সঙ্গে যুগ্ম সদস্যসচিব প্যানেল থাকবে।’
নতুন ছাত্রসংগঠনের দেওয়া কর্মসূচি কেমন হতে পারে সে সম্পর্কে জানতে চাইলে এই সমন্বয়ক বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় এবং শিক্ষাঙ্গনে সুষ্ঠু শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করার মতো বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে। আমরা বলছি, স্টুডেন্ট ফার্স্ট এবং বাংলাদেশ ফার্স্ট স্লোগানকে সামনে রেখে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করব।’
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাসের জন্য শিক্ষার্থীদের যত ধরনের দাবি থাকবে, আমরা তা আদায় করতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে কর্মসূচি পরিচালনা করব। এর মধ্যে রাজনৈতিক শিক্ষা ও বিস্তার এবং ছাত্র নাগরিক সংহতির মতো বিষয়গুলো আমাদের কর্মসূচিতে প্রাধান্য পাবে।