ভারত গজলডোবায় বাঁধ নির্মাণ করে একতরফাভাবে তিস্তা নদীর পানি শাসন করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার স্বার্থে তার প্রতিবাদ করেনি বলে মন্তব্য করেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, যে সব দেশ একটি নদীর অববাহিকায় অবস্থান করছে, তাদের সবাইকে পানি সমানভাবে ভাগ করে নিতে হবে। তবে ভারত সেই আইন লঙ্ঘন করে তিস্তা নদীর গজলডোবায় বাঁধ নির্মাণ করে একপাক্ষিকভাবে পানি নিয়ন্ত্রণ করছে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।’
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচিতে কালীগঞ্জের কাকিনা মহিপুর পয়েন্টে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বাংলাদেশ যখন তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা দাবি তোলে, তখন পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রীয় সরকারকে চাপ দেয়, ফলে বিভিন্ন অজুহাতে বাংলাদেশকে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা দেওয়া হয় না।’ বন্যার সময় অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দিয়ে ভারত এদেশের ঘরবাড়ি ডুবিয়ে দেয়, খরার সময় পানি একতরফাভাবে প্রত্যাহার করে অববাহিকায় জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গত ১৫ বছরে বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ বৈষম্যহীন একটি বাংলাদেশ গড়ার দাবি তুলেছে, যেখানে বাংলাদেশ কারো কাছে মাথানত করবে না।’ তিনি শেখ হাসিনার সরকারকে ফ্যাসিস্ট সরকার হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, ‘সরকার নিজের গদি টিকিয়ে রাখার জন্য দেশ ও মানুষের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়েছে।’
কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে রংপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি সামসুজ্জামান সামু, রংপুর ও লালমনিরহাট বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দসহ তিস্তা পাড়ের হাজার-হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।