ভয়াবহ ভূমিকম্পের আঘাত এখনো সামলে উঠতে পারেনি মিয়ানমার। চলছে উদ্ধার ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এরই মধ্যে দফায় দফায় কম্পন অনুভূত হচ্ছে দেশটিতে। সেই ধারাবাহিকতায় রোববার (১৩ এপ্রিল) ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল মিয়ানমার।
ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্পন কেন্দ্র এ তথ্য জানিয়েছে। তাদের প্যারামিটার অনুযায়ী, রোববার সকালে নতুন করে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। উৎপত্তিস্থলে কম্পনের গভীরতা ছিল ৩৫ কিলোমিটার (২১.৭৫ মাইল)।
মান্দালয়ের ৯২ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং মেইকটিলার ৩৪ কিলোমিটার দূরে উৎপত্তিস্থলের অবস্থান।
ইউরোপীয় ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্পন কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, এসব তথ্য প্রাথমিক। তারা মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার জাতীয় ভূমিকম্প তথ্য কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। বিস্তারিত তথ্য জানতে কর্মকর্তারা কাজ করছেন।
এর আগে শুক্রবার (১১ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২ মিনিটে মিয়ানমারে ৪ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল এই কম্পনের উৎপত্তিস্থল। প্রথম ধাক্কার পর একাধিক আফটার শক হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে এনসিএসের বার্তায়।
প্রসঙ্গত, ২৮ মার্চ দুপুরে মিয়ানমারে শক্তিশালী দুটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় শহর মান্দালয় থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্র বা এপিসেন্টার। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ ও গবেষণা সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্প দুটির মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭ দশমিক ৭ এবং ৬ দশমিক ৪। এ দুর্যোগে মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
ভূমিকম্পের এই কম্পন অনুভূত হয় মিয়ানমারের প্রতিবেশী থাইল্যান্ড, দক্ষিণ-পশ্চিম চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া ও বাংলাদেশ।