শরীয়তপুরের ডাকাতির চেষ্টাকালে গণপিটুনিতে দুই ডাকাত নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ডাকাতের হাতবোমা ও এলোপাতাড়ি গুলিতে আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। তাদের চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে ডোমসার ইউনিয়নের তেতুলিয়া এলাকায় কীর্তিনাশা নদীতে বাল্কহেডে ডাকাতির চেষ্টাকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রিপনের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের কালিরচর এলাকায় ও আনোয়ার দেওয়ানের বাড়ি শরিয়তপুরের জাজিরায়।
স্থানীয়, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে একদল ডাকাত মাদারীপুরের রাজারচর এলাকায় বাল্কহেডে ডাকাতির চেষ্টা করে। পরে তাদের ধাওয়া দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সময় ডাকাতরা পালিয়ে পার্শ্ববর্তী জেলা শরীয়তপুরের তেতুলিয়া এলাকায় আসলে স্থানীয়রা বাল্কহেড দিয়ে তাদের স্পিডবোটের গতিপথ রোধ করে। এ সময় ডাকাতরা হাতবোমা ও এলোপাতাড়ি গুলিতে আহত হন বেশ কয়েকজন।
পরে ডাকাতরা স্পিডবোট ফেলে পালানোর সময় ৭ জনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয় ক্ষুব্ধ জনতা। পরে ডাকাতদের গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
অন্যদিকে, ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে চারজন আহত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয় বলে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মুনতাসির নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, ডাকাতির চেষ্টাকালে সাতজনকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ডাকাতির ঘটনায় একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও স্পিডবোট জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।