বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রতিটি সংস্কারকে এগিয়ে নিয়ে যাব। সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। সংস্কার চলবে, নির্বাচন হবে। নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে যে দল সরকারে আসবে তারা সংস্কারগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শেরেবাংলা নগরে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত ৪টি সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে বিএনপি কোনো মন্তব্য করতে চায় না। সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। ‘দ্বিতীয় সরকার’ যেটা বলেছে এবং পরিকল্পনা করেছে যে রিপোর্টগুলো হাতে পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা করবে। তারপরই সিদ্ধান্ত হবে। ঐকমত্য ছাড়া কোনোটিই গ্রহণযোগ্য হবে না।
অতি অল্প সময়ে নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে যাতে গণতন্ত্রে ফিরে যেতে পারি সেই ব্যবস্থা করা হোক উল্লেখ করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে মানুষ বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ঠিক একইভাবে ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে তিনি যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় দায়িত্বে এসেছিলেন, তখন তিনি একটি আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য খুব অল্প সময়ে মধ্যে নতুন করে সংস্কার করে কাজ শুরু করেছিলেন। তিনিই প্রথম সংস্কার অর্থাৎ একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, আব্দুস সালাম প্রমুখ।