বর্তমান সরকার ‘মব জাস্টিসকে’ কোনোভাবেই সমর্থন করে না বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
তিনি বলেন, যেখানেই এ ধরনের ‘মব জাস্টিস’ হচ্ছে, তা ঠেকানোর জন্য চেষ্টা করছে সরকার।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে অমর একুশে বইমেলায় চায়না বুক স্টল পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনও উপস্থিত ছিলেন।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফারুকী বলেন, ‘আমরা কোনো ধরনের মব জাস্টিসে বিশ্বাস করি না। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ বিষয়ে সচেতন আছে। সবাইকে আহ্বান জানাতে চাই, এখন আমাদের রাষ্ট্র বিনির্মাণের সময়। আমাদের সবাইকে সচেতন ও সজাগ থাকতে হবে।’
৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙার বিষয়ে ফারুকী বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট, যারা এতগুলো মানুষ মেরেছে, সেই ক্ষত এখনো শুকায়নি। তাদেরকে বলব, আপনারা দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হোন। তা না করে যে উসকানি দিচ্ছেন, তা অত্যন্ত খারাপ। দেশের কোথাও কোনো মব জাস্টিস হলে আমাদের সরকার এর পক্ষেতো নয়ই, বরং আমরা ঠেকানোর কাজ করছি।’
চলতি বছরের একুশে পদকের ঘোষণায় ১৫ জনের মধ্যে পাঁচজনকে মরণোত্তর এ পুরস্কার দেওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘আমরা পুরনো পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছি। এই মহান মানুষেরা আগেই একুশে পদক পাওয়ার যোগ্য ছিলেন। কিন্তু তাদের অতীতে পুরস্কার দেওয়া হয়নি। আমরা জানি, তখন রাজনৈতিক বিবেচনায় পুরস্কার দেয়া হত। এবার সেটি হয়নি বলে অনেকে প্রশংসাও করছেন।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘এবার আমরা মরণোত্তর পুরস্কার দিয়ে মূলত পাপমুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছি। আমি চাই আগামী পাঁচ বছর পরে যেন আর মরণোত্তর পুরস্কার দিতে না হয়৷ জীবিত অবস্থাতেই যেন যোগ্যদের সম্মান দিতে পারি।’