দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে সুদানে। আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের সাথে যুদ্ধ করছে দেশটির সেনাবাহিনী।
আফ্রিকার দেশ সুদানের একটি হাসপাতালে ভয়াবহ ড্রোন হামলা করা হয়েছে। এতে ৬৭ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
এ হামলায় দারফুর অঞ্চলের ওই হাসপাতালে প্রাথমিকভাবে ৩০ জন নিহত হওয়ার কথা জানানো হলেও পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৭ জনে পৌঁছায়।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি এবং সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে সুদানে। আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের সাথে যুদ্ধ করছে দেশটির সেনাবাহিনী। যুদ্ধরত দুই পক্ষের মধ্যে ঠিক কোন পক্ষ এই হামলা চালিয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
আল জাজিরা বলছে, মূলত সুদানের দারফুর অঞ্চলের এল-ফাশারের সর্বশেষ যে কয়েকটি হাসপাতাল কার্যকর রয়েছে, তার একটিতেই এই ড্রোন হামলা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এদিকে দারফুরের আঞ্চলিক গভর্নর মিনি মিনাউই শনিবার তার এক্স অ্যাকাউন্টে রক্তাক্ত মৃতদেহের গ্রাফিক ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, এই হামলায় নারী ও শিশুসহ ৭০ জনেরও বেশি রোগীকে শেষ করে দেওয়া হয়েছে।
২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল সুদানে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) মধ্যে ক্ষমতার দখল নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বেঁধে যায়। দুই বাহিনীর এ লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন আরও লাখ লাখ মানুষ।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, দুই বাহিনীর সংঘাতের মধ্যে আফ্রিকার এই দেশটিতে ৮০ শতাংশ হাসপাতাল ও ক্লিনিক তাদের পরিষেবা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।