২০২৫ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতাদের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, নতুন বছরে বিগত ১৬ বছরের অপকর্মের বিচারের কাজ চলবে। প্রধান বিচারপতির সম্মতির পর সংস্কার সম্পন্ন হওয়া মূল ভবনে বিচার কাজ শুরু হবে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার যত অপরাধ করেছে, তার সব বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
বুধবার (১ জানুয়ারি) নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একটা নতুন সূর্যোদয় হয়েছে এবং ২০২৫ সাল আমরা শুরু করতে পেরেছি স্বৈরশাসন মুক্ত পরিবেশে।’
‘২০২৫ সালে বাংলাদেশের অনেক বড় বড় অগ্রাধিকার আছে। সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার এবং সবাই যেটা চান তা হচ্ছে, গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশে যেসব মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে, গণহত্যা হয়েছে, জুলুম-নির্যাতন-নিপীড়ন হয়েছে সেগুলোর সঠিক ও সুষ্ঠু বিচার শেষ করা,’ বলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ওপর প্রত্যাশার অনেক বড় চাপ আছে উল্লেখ করে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে দেশে যে অপরাধগুলো হয়েছে তার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আগামীর ভবিষ্যৎ পুনর্নির্মাণে এবং বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মকে আলোকিত ভবিষ্যৎ উপহার দেওয়ার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করার ক্ষেত্রে প্রয়োজন একটি সঠিক তদন্ত রিপোর্ট বা তদন্তকার্য। সে তদন্তকার্য এখন চলমান আছে। তদন্তকার্য সমাপ্ত হওয়ার সঙ্গে বিচার প্রক্রিয়া শুরু এবং শেষ হওয়ার একটা সম্পর্ক আছে।’
নতুন বছরের প্রত্যাশা ও আশাবাদ ব্যক্ত করে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে একটি আশাবাদ হচ্ছে ২০২৫ সাল হবে যারা ঘৃণ্য অপরাধ করেছে সেই সব অপরাধীদের বিচারের বছর। সে আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখে কাজ করে চলছি। আমরা চেষ্টা করব ২০২৫ সাল যেন বাংলাদেশের সুবর্ণ ইতিহাসের বছর হয়। আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করছি যে, ২০২৫ সাল অবশ্যই অপরাধীদের বিচারের বছর হবে।’
এ সময় প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ, আবদুল্লাহ আল নোমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।