জুলাই-আগস্টে ছাত্রদের ডাকে পথে নামে মানুষ, রক্ত দিয়ে প্রতিবাদ করে অন্যায়ের। অভ্যুত্থানের পথে নামা মানুষের চোখে স্বপ্ন ছিল পরিবর্তনের। সেই চাহিদা আর অভিজ্ঞতার মিশেলে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের পথে হাঁটছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে আত্মপ্রকাশ ঘটছে বহুল আলোচিত এই নতুন রাজনৈতিক দলের।
এরই মধ্যে জনমানুষের প্রস্তাবিত নাম, প্রতীক নিয়ে চলছে কাজ। নেতৃত্বের তালিকায় শোনা যাচ্ছে বেশ কয়েকজন ছাত্রনেতার নাম। যাদের মধ্যে আছেন নাহিদ ইসলাম, আখতার হোসেন সারজিস আলম। তবে, এখনই চূড়ান্ত বলছে না নাগরিক কমিটি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে দল ঘোষণার বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন। দল ঘোষণার পর এমাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় কর্মসূচিও পালন করতে চান তারা। সেক্ষেত্রে ২৫ ফেব্রুয়ারি দল ঘোষণার বিষয়ে মতামত আসে। ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যা দিবস হওয়ায় তার আগের দিন অর্থাৎ ২৪ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা হতে পারে বলে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহবায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, নতুন দল হবে অনেকটা আমব্রেলা পার্টির মতো অর্থাৎ যে ছাতার নিচে দাঁড়াতে পারবেন মধ্যপন্থার যে কেউ। থাকবে না ডান বা বামের ধরণ কিংবা পরিবারতন্ত্র। সমাজতন্ত্র বা ইসলামি ভাবধারায় না যেয়ে, গণতান্ত্রিকভাবে মানুষের সমস্যা সমাধানই হবে লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, আমরা একদম জনগণের মধ্য থেকেই দল গঠন করবো।
নতুন দলের বিষয়ে সহ-মুখপাত্র সালেহ উদ্দিন সিফাত বলেন, নতুন রাজনৈতিক দল জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সৃষ্ট নতুন রাষ্ট্রকল্প ও প্রস্তাবনা নিয়ে আসছে। স্বাস্থ্য খাত থেকে শুরু করে শিক্ষা খাত, পররাষ্ট্রনীতি, অর্থ খাত, পরিবেশবিষয়ক নানা প্রস্তাবনা আমরা এরই মধ্যে নাগরিকদের কাছ থেকে পাচ্ছি। এগুলো সন্নিবদ্ধ করার কাজ চলমান। নাগরিকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ছাত্র-তরুণদের এই দল গঠনে নিজেদের শামিল করছেন। আমাদের প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধারাও প্রবাসীদের ভোটাধিকার বাস্তবায়নসহ নানা গঠনমূলক প্রস্তাবনা দিচ্ছেন। এর মাধ্যমে জনগণের মধ্য থেকে রাজনৈতিক দল গঠনের অভূতপূর্ব নজির বাংলাদেশে স্থাপিত হতে যাচ্ছে।