বাংলাদেশে হিজরি ১৪৪৬ সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে রোববার (২ মার্চ) থেকে দেশে শুরু হচ্ছে পবিত্র ও মহিমান্বিত রোজার মাস।
শনিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এদিন সন্ধ্যায় দেশের বিভিন্ন স্থানে রমজানের চাঁদ দেখা গেছে।
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। সভায় পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শনিবার (১ মার্চ) এশার নামাজের পর তারাবির নামাজ পড়ার মধ্যে দিয়ে পবিত্র রমাজান মাসের রোজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু করবেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।এদিন দিবাগত রাতে সেহরির মাধ্যমে রোজা শুরু হবে।
এ মাসে মুসলিমরা ধর্ম চর্চার অংশ হিসেবে ভোর থেকে সুর্যাস্তের পর পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার ও যৌনক্রিয়াদি বর্জন করে থাকেন। একে আরবিতে ‘সিয়াম’ বলেথাকে, বাংলাদেশে যা মূলত ‘রোজা’ বলে পরিচিত। ইসলামি বর্ষপঞ্জির ১২টি মাসের মধ্যে শুধুমাত্র এই মাসের নাম পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মাসটির শেষ দশ দিনে (সাধারণত বিজোড় রাতে) লাইলাতুল কদর পালন করা হয়। মুসলমানরা এই রাত্রিকে হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম রাত্রি বলে বিশ্বাস করেন। কুরআনে লাইলাতুল কদরের ইবাদতের দ্বারা এক হাজার মাস (৮৩ বছর চার মাস)-এর ইবাদতের সমপরিমাণ ছওয়াব পাওয়ার কথা বলা হয়েছ। এ মাসকে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন হলো রহমত; তার দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাত; এর শেষ ১০ দিন হলো নাজাত।
সাধারণভাবে বলা হয়ে থাকে, প্রথম ১০ দিন আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের প্রতি রহমত বা দয়া বণ্টন ও বিতরণ করতে থাকবেন।
দ্বিতীয় ১০ দিন আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের ক্ষমা করতে থাকবেন।
শেষ ১০ দিন আল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দাদের জাহান্নাম থেকে নাজাত বা মুক্তি দিতে থাকবেন।
রোজার নিয়ত:
বাংলায় উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন আছুমা গদাম মিন শাহরি রমাদ্বানাল মুবারকি ফারদ্বল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাক্বব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আংতাস সামীউল আলীম।
অর্থ: আয় আল্লাহ পাক! আপনার সন্তুষ্টির জন্য আগামীকালের রমাদ্বান শরীফ-এর ফরয রোযা রাখার নিয়ত করছি। আমার তরফ থেকে আপনি তা কবুল করুন। নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা , সর্বজ্ঞাত।
মাসআলা: কেউ যদি ছুবহি ছাদিক্বের পূর্বে নিয়ত করতে ভুলে যায় তাহলে তাকে দ্বিপ্রহরের পূর্বে নিয়ত করতে হবে। তখন এভাবে নিয়ত করবে:
বাংলায় উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন আছুমাল ইয়াওমা মিন শাহরি রমাদ্বানাল মুবারকি ফারদ্বাল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফা তাক্বাব্বাল মিন্নী ইন্নাকা আংতাস সামীউল আলীম।
ইফতারের দোয়া:
বাংলায় উচ্চারণ: (আল্লাহুম্মা সুমতু লাকা, ওয়া তাওআক্কালতু আ‘লা রিঝক্বিকা, ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমীন)
অর্থ: আয় আল্লাহ পাক! আমি আপনারই সন্তুষ্টির জন্য রোযা রেখেছি এবং আপনারই দেয়া রিযিক্ব দ্বারা ইফতার করছি।