বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বলেছেন, শেখ মুজিব এ দেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি চেয়েছিলেন আজীবন রাষ্ট্রনায়ক হতে। তিনি নিজে নিজেই সমস্ত দলগুলোকে বন্ধ করে দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে বাকশাল গঠন করেছিলেন। সেখানেই আমাদের প্রথম সংবিধানে আঘাত হানেন স্বৈরাচারী শেখ মুজিব। তিনি ছিলেন একনায়কতান্ত্রিক নেতা।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার হাসাইল বানারী ইউনিয়ন বিএনপির পার্টি অফিস উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।
আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানে লেখা ছিল জনগণ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও জনগণের ভোটের মধ্য দিয়ে এ দেশের সরকার গঠিত হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা লাভ হলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে। বহুদলীয় গণতন্ত্র থাকবে। এ সংবিধানের মধ্যে প্রথমেই কালিমা লেপন করেছে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ মুজিব।
তিনি বলেন, শেখ মুজিব চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের পরিবর্তে বাংলাদেশে আর কোনো দল না থাকে। তিনি প্রায় সাড়ে ৪০০ পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে বাকশালের মুখপাত্র হিসেবে ৪টি পত্রিকা রাখেন। সংবাদপত্রে স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার বন্ধ করে দেন তিনি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব আরও বলেন, শেখ মুজিবের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে প্রায় ৪০ হাজার মায়ের বুক খালি করা হয়েছে। তার আমলে এতো গুম-হত্যা হয়েছে যে, তা পৃথিবীর মানচিত্রে কোনো দেশে হয় নাই। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে এ দেশ স্বাধীন হতো না।
হাসাইল বানারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনির হোসেন শেখের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এম এ জামান এ্যাপেলোর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলী আজগর রিপন মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন দোলন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন মোল্লা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাই, বেতকা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কে এম জহিরুল ইসলাম লেলিনসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।